যশোরে চৌগাছায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ইসমত আরা (২৮) নামে দুই সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আনিছুর রহমানের (৬০) বিরুদ্ধে।
নিহত ইসমত আরা সম্পর্কে আনিছুর রহমানের পুত্রবধূ।
ইসমত আরা চৌগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের মেয়ে। তার স্বামীর নাম মজনুর রহমান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম রেজার মামলায় অভিযুক্ত শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আনিছুর রহমান। শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলা নথিভূক্ত হয়।
এর আগে শুক্রবার (৩০ জুন) গভীর রাতে উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের মুক্তদহ গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে ইসমত আরার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মলার নথি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে মজনুর সঙ্গে ইসমত আরার বিয়ে হয়।
তাদের রাব্বী (৫) ও সাব্বির (২) নামে দুটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আসামিরা তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
আনিছুর রহমান প্রায়ই ইসমত আরাকে কু প্রস্তাব দিত এবং সুযোগ পেলে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করত।
ইসমত আরা বিষয়টি তার ভাইদের জানালে তার পারিবারিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
তবে ইসমত আরার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ জন্য তাকেই দায়ী করে এসেছেন বিভিন্ন সময়।
৩০ জুন বিকাল ৫টার দিকে আনিছুর রহমান ইসমত আরার স্বামীর বসত ঘরের পাশে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
ভুক্তভোগী এর প্রতিবাদ করলে আসামিদের যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গলাটিপে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন বলেন,
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি বোঝা গেছে।
নিহতের শ্বশুর অপরাধ স্বীকারও করেছেন। তবে ধর্ষণের বিষয়টি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন :