উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে প্রমত্ত তিস্তা। হু হু করে বাড়ছে বানের পানি। লালমনিরহাটে পানিতে ভাসছে ২০ হাজার পরিবার।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে আরও বাড়ছে পানি। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। রাস্তা-বসত বাড়ি গেছে তলিয়ে।
ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সে.মি. উপরে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়,
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে তিস্তার পানি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার ও শনিবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা,পাটগ্রাম,আদিতমারী,সদরসহ ৫টি উপজেলার ২০ হাজার পরিবার রয়েছে কষ্টে।
বন্যা কবলিতজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মানুষ। বন্যা করলিত মানুষের মাঝে নেই ত্রাণ। ত্রাণের অভাবে হা-হা কার মানুষের।
খুনিয়াগাছ,কালমাটি,রাজপুর,গড্রিমারী,পারুলিয়া, ডাউয়াবাড়ী, মহিষখোচাসহ বিভিন্ন বন্যাত্ব এলাকার বন্যাত্ব পরিবারগুলো ঘর-বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল জানান,
তার ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি।
হাতিবান্ধার গড্রিমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান,
ওই ইউনিয়নে ৪ হাজার পরিবার পানিবন্ধি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, বন্যাত্ব পরিবারের মাঝে বরাদ্দ না দেয়ায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
শুকনা খাবার দ্রুত না দিলে সমস্যার সৃষ্টি করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান,
বন্যাত্রদের মাঝে ১০৩ মে. টন চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা হয়তো বিতরন করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী জানিয়েছে তিস্তার পানি আরও বাড়তে পবে তবে বন্যার পানি গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন :