ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেক শহরবাসী। যারা ঈদের আগে যেতে পারেনি, তারা ঈদের পরের দিন সকাল থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।
তবে এ সময় যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বৃষ্টির কারণে।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে গাবতলী ও কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
ছুটি উদযাপনে কেউ একা, কেউ বা সপরিবারে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।
ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে বা নানা ব্যস্ততায় যারা বাড়ি যেতে পারেননি, তারা আজ বাড়ি যাচ্ছেন।
আবার অনেকে ঢাকায় কোরবানি শেষে প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি যাচ্ছেন।
এর মধ্যে ঢাকার আশপাশের অঞ্চলের যাত্রী বেশি। দূরপাল্লার যাত্রীও রয়েছে।
দেখা গেছে, গাবতলীর কোচ কাউন্টারগুলোয় বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
আবার কেউ কেউ কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরে টিকিট খুঁজছেন।
উত্তরবঙ্গমুখী আগমনী বাসের কাউন্টারে ঈদের আগের মতোই অপেক্ষমাণ মানুষজন লক্ষ্য করা গেছে।
কাউন্টারের ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাইরের অস্থায়ী ক্যাম্পে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
ঈদের আগে বাড়তি যাত্রী চাপ সামাল দিতে এ ক্যাম্প বানানো হয়েছিল।
এ সব যাত্রীর অধিকাংশ ঈদের আগে টিকিট না পাওয়ায় আজ বাড়ি যাচ্ছেন।
অনেকে ঢাকাতে কোরবানি করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।
এছাড়া, কর্মজীবীদের মধ্যে কেউ কেউ ঈদের ছুটি না পাওয়ায় আজকে যাচ্ছেন।
তবে বাড়ি যাওয়ার পূর্ব শিডিউলেই ঈদের পরে বাড়ি যাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ।
ফলে বাস কাউন্টারগুলো আগে থেকে কিছু বাস প্রস্তুত করে রেখেছিল, কিছু কোচ যাত্রী পাওয়ার পর যুক্ত করছে।
কল্যাণপুরের ফাতেমা বাস কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, ঈদের আগের দিন ঢাকা থেকে নয়টি বাস ছেড়ে গেছে।
আজকে পরিকল্পনা আছে সাতটি বাস ছাড়ার। ১২টার আগে ইতিমধ্যে তিনটি ছেড়ে গেছে।
তবে সব বাস ঢাকা ছাড়ার জন্য যাত্রী পাচ্ছে, এমন না।
কোনো কোনো বাসের লোকজন সেই চিরচেনা দৃশ্যের মতো দেখা গেছে।
তারা যাত্রী দেখলেই কাউন্টার বা গাড়িতে টেনে তুলছে।
যাত্রী এবং কাউন্টারগুলোতে কথা বলে আজ বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ঈদের আগের দিন কাউন্টার সার্ভিসের বাসের শিডিউল বিপর্যয় দেখা গেলেও আজ তা ছিলো না।
নির্ধারিত সময়ের সর্বোচ্চ ১০ মিনিট পরই প্রতিটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে।