অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তার নাম মঈনুল হোসেন।
তিনি ইবি শাখায় প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার লোন) পদে কর্মরত রয়েছেন।
তার বাড়ি কুষ্টিয়ার বড় আইলছাড়ার দক্ষিণ পাড়ায়। জানা যায়,
অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম শামীমা। তার বাড়ি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা মধ্য বাজারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,
তাদের উভয়ের মাঝে আজ বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এসময় ওই মহিলা পালানোর চেষ্টা করলে তাকে প্রধান ফটক থেকে কয়েকজন যুবক ও নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসে।
পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কর্মীরা ইবি থানার পুলিশে সোপর্দ করেন।
তাৎক্ষনিক ওই কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। এসময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ওই মহিলার দাবি ভালোবেসে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিয়ে করে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল।
কিন্তু ওই কর্মকর্তা তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘদিন যাবত তাকে অবহেলা করে আসছিলো।
এ দ্বন্দ্বের জের ধরে আজ দীর্ঘসময় তর্কবিতর্ক হয়৷ একপর্যায়ে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হলে তার গলায় ছুরি ধরেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
পরে নিজের আত্মরক্ষা করতে গিয়ে উল্টো ছুরি লাগে ওই কর্মকর্তার গলায়। এসময় ওই মহিলার হাতও কেটে যায়।
এসময় ওই কর্মকর্তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া নার্স মমতাজ বলেন,
‘হঠাৎই উনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিক্যালে আসে। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক গলায় ব্যান্ডেজ করে দিছি৷
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
এদিকে ওই মহিলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি সেল প্রধান ফটক থেকে আটক করে ইবি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়৷
এসময় ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে চলে আসি। মহিলাকে আটক করা হয়েছে পরে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আরও পড়ুন :