মাদারীপুরের কালকিনিতে ককটেল হামলায় আহত বিএনপি কর্মী সুজন সরদার (৩৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত সুজন কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মিজানুর রহমান সরদারের ছেলে।
এছাড়া কালকিনি পৌরসভার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের মফি বেপারীর ছেলে শামিম বেপারী (৩০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক আপাং কাজী-কাইউম মৃধা ও মিরাজ সরদারের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এনায়েত নগর ইউনিয়নের খালেকের হাটে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সিঙ্গাপুর প্রবাসী সুজন সরদারসহ উপজেলা বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মী ককটেল হামলায় আহত হন। পরে খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় সুজন সরদারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আজ সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার বলেন, সুজন একজন নিরীহ ভালো মানুষ ছিলেন। এনায়েতনগরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেট হামলার ঘটনায় সুজন আহত হয়ে মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বে ককটেল হামলায় আহত সুজন মারা গেছেন। এলাকা শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।