সাভারের আশুলিয়ায় সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী ফারুক হোসেনকে রংপুরের পীরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) গভীর রাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারুককে রংপুরের পীরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. ফারুক হোসেন ও নিহত স্ত্রী শিমু আক্তার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তারা দুই সপ্তাহ আগে আশুলিয়ার গাজিচট নয়াপাড়া এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করলে র্যাব আসামিকে খুঁজতে ছায়া তদন্তে শুরু করে।
মামলাটির তদন্তে গিয়ে দেখা যায়, ৬ বছর আগে ফারুকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শিমুর।
তাদের একটি ৪ বছরের একটি ছেলে আছে। তারা দুইজন আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। শিমুর বড় বোন লাবনীর বাসাও আশুলিয়ার ওই এলাকায়।
র্যাব আরও জানায়, ১০-১৫ দিন আগে গ্রামের বাড়িতে শিমুর সঙ্গে স্বামীর ফারুকের বাকবিতণ্ডা হয়।
এসময় শিমুর গলা টিপে ধরে নির্যাতন করেন ফারুক। ঢাকায় আসার পর গত ১৯ জুন রাতে শিমুর বড় বোনের বাসায় রাতের খাবার শেষে তারা নিজ বাসায় চলে আসে ( শিমু ও ফারুক)।
পরদিন সকালে লাবনী কর্মস্থলে যাওয়া পথে শিমুর বাসার কক্ষের দরজার বন্ধ দেখতে পায়।
পরে অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান শিমুর গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ ওড়না দিয়ে পেচানো অবস্থায় রয়েছে।
পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, আমরা ঘটনার পর পর ছায়া তদন্ত শুরু করি।
আসামি ফারুককে বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের পীরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে
পেছন থেকে হাতের কাছে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রী শিমুর গলা প্রায় দ্বি-খণ্ডিত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ফারুকের ধারণা শিমু পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিল। তাই তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন।
আসামিকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।