শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে।
২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার ছিল, আমরা শিক্ষার সব পর্যায়ের মানোন্নয়ন করব। সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি।
শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,
যে কাজগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে দরকার। আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার,
শিক্ষক দরকার হয়। আমরা ব্যাপকভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি।
একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, যুতসই প্রযুক্তি লাগে, সেগুলো ব্যবহার করছি।
এসব কিছু মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মান প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত উন্নত হয়।
দীপু মনি বলেন, আজ উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ,
আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি।
এ পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের চার-পাঁচ বছর সময় নেবে।
কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে,
তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান।
বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
মন্ত্রী বলেন,
বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন,
আমরা তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
সে উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,
নির্বাচন যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন করে।
যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন, তাদের দেশেও একই ভাবে হয়। আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করার সব ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন,
আপনারা দেখেছেন, গত অনেকগুলো নির্বাচন মানুষের কাছে এবং সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত যে এ দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব এবং হচ্ছে।
কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করবার কোনো অবকাশ নেই। যথা সময়ে, যথা নিয়মে, আইন কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, সেখানে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান,
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী,
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।