ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের পর হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হুমকিতে বলা হয়েছে:
‘তোকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন আর না দেখি, দেখলে মেরে ফেলবো।
এ ঘটনায় রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হচ্ছেন শরিফুজ্জামান শোভন; বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আর অভিযুক্তরা হলেন:
ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সজিব ও বাংলা বিভাগের তৌহিদসহ ১২ জন।
অভিযোগে বলা হয়েছে:
রোববার (৯ জুলাই) শোভন ক্লাস শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে ডায়না চত্বরের দিকে যান।
এ সময় মাসুদের নেতৃত্বে সজিব ও তৌহিদসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান।
তারা কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে তার মাথায় আঘাত করতে থাকেন।
এতে তার মাথায়, নাক, মুখ ও হাতের আঙুলে জখম ও রক্তপাত হয়।
এছাড়া অভিযুক্তরা হাতঘড়ি, চশমা ও মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান।
এমনকি হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, ‘তোকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আর না দেখি, দেখলে মেরে ফেলবো।’
শোভন তার অভিযোগপত্রে তার নিরাপত্তাসহ লেখাপড়া করার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় অভিযোগকারীকে চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ ও তাওহীদের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযুক্ত সজিব বলেন,
‘ঘটনার সময় আমি হলে ছিলাম। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
আমি আমার গেস্টের জন্য নাস্তা আনতে ঝাল চত্বরে গিয়েছিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ওয়াহিদুল হাসান বলেন, কিল-ঘুষির কারণে অভিযুক্তের মাথার চামড়া আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
এতে তার মাথায় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা সেজন্য তাকে সিটি স্ক্যান করতে বলেছি।
সিটিস্ক্যান না করা পর্যন্ত কিছু বলতে পারবো না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
বিষয়টি আমলে নেয়া হয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির যৌথ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।