কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে আজ সকাল ৮টা থেকে। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। তিন ধাপে এ প্রক্রিয়া শেষে ৮ অক্টোবর শুরু হবে ক্লাস।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রকাশিত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীদের প্রথম পর্যায়ের আবেদন করা হবে ১০ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত।
অন্যান্যবারের মতো এবারও ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। আবেদন গ্রহণ করা হবে তিন পর্যায়ে।
পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে ৩১ অগাস্ট। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় প্রকাশ হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও প্রথম মাইগ্রেশনের ফল।
আর ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় দেওয়া হবে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল।
১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫ ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম অনুযায়ী আবেদন করা যাবে।
ভর্তির সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে পাঁচ হাজার টাকা।
অন্য মহানগরে তা ৩ হাজার, জেলায় দুই ও উপজেলা পর্যায়ে দেড় হাজার টাকা।
মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থীকে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রবাসীদের সন্তান, বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
এক্ষেত্রে বোর্ড যাচাই-বাছাই করে সেই শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য বছরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
একটি প্রতিষ্ঠানের মোট আসনের ৯৩ শতাংশ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য থাকবে ২ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য।
অবশ্য, এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে সেখানে মেধা কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে আবেদন করতে পারবে।
আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুটির যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্যও একই নিয়ম কার্যকর হবে।
যে কোন গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সঙ্গীত গ্রুপের যে কোন একটিতে আবেদন করতে পারবেন।
২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমানের প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ শিক্ষার্থী।