নরসিংদীতে দুই ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদী সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরী।
তিনি জানান,
এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।
আদালত আজ জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। তবে খায়রুল কবির খোকন শারীরিক অসুস্থ জানিয়ে তার আইনজীবী আদালতে হাজির হতে সময় চেয়ে আবেদন করেন।
কিন্তু আদালত তার আবেদন নাকচ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এর আগে গত ১৩ জুলাই খায়রুল কবির খোকনের আত্মসমর্পণ করাকে কেন্দ্র করে হাতে
ভাঙচুর ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডব চালান জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা।
এ সময় তারা মুসলেহ উদ্দিন ভূঞা স্টেডিয়ামের সামনে ঢাকা থেকে আসা উচ্চ আদালতের
আইনজীবীদের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং পাঁচজন আইনজীবীকে পিটিয়ে আহত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সামনে থেকে উপজেলা মোড় পর্যন্ত সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পাশাপাশি এই সড়কে চলাচলকারী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও আদালতে আসা ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করে এবং শরীর তল্লাশি চালিয়ে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এতে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের আইনজীবী আবদুল কাদির টিটু বলেন,
‘আসামি খায়রুল কবির খোকন শারীরিকভাবে অসুস্থ ও মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত।
পাশাপাশি আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে তিনি জীবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তাই ওনার আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব না বিধায় আমরা সময় চেয়ে আবেদন করেছি।’
বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান,
গত ২৫ মে বিকেলে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে সাদেকুর রহমান (৩২)
ও সাটিরপাড়া সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল ইসলামের ছেলে ছাত্রদল কর্মী আশরাফুল ইসলাম (২০)।
এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন
ও তার স্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে
ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা করেন।