বিএনপি আবারও আগুন-সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (২৯ জুলাই) রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
বিএনপি আজ ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে। তাদের থামাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন।
রাজারবাগ হাসপাতালেই ৩১ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ সময় তিনি দাবি করেন,
বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশ যখন আহত হচ্ছিল, তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সহযোগিতার জন্য বের হয়েছিল।
বিএনপির আজকের কর্মকাণ্ড অগ্নিসন্ত্রাসের কাহিনী স্মরণ করিয়ে দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,
‘বিএনপি নেত্রী নিপুন রায় ফেসবুকে আগুন ধরানোর কথা বলছেন, বিএনপি নেতারাও এসবে উৎসাহ দিচ্ছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়া ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের বিষয়ে তিনি বলেন,
বিএনপি নেতা আমান যখন আটক হন, তখন তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পুলিশ বাহিনী মানবিকতা দেখিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ সময় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক এমন কিছু করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমাদের বাধা নেই। কিন্তু জনদুর্ভোগ তৈরি করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
এ সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার সড়কে বিএনপির অবস্থান নেয়ার কথা ছিল। বিপরীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সড়কে থাকার ঘোষণা দেন।
এ অবস্থায় সংঘাত এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীতে কোনো দলকেই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হয়নি।
তবু পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আগুন-সন্ত্রাস, ভাঙচুর ও সহিংসতায় জড়ান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি প্রধান) অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ বলেন,
দিনভর সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৯০ জনকে। পুলিশের রায়টকারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া রাজধানীতে সাতটির বেশি বাস ও বিভিন্ন পরিবহনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন :