নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে কোনো প্রচার নেতিবাচক মনে হলে তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবে। ইসির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক তা সরিয়ে ফেলবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানিয়েছে ইসি।
আজ বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। তা শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে।
বৈঠকে ইসির পক্ষে অংশ নেন অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ,
আইডিইএ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
আর ফেসবুকের পক্ষে অংশ নেন ফেসবুকের বাংলাদেশ পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার,
এপিএসি গ্লোবাল রেসপন্সের প্রধান আইডেন হোয় ও নিয়ন্ত্রক বিশেষজ্ঞ ইউজিন পো।
বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করেন ফেসবুক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
বৈঠক শেষে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেনি। তবে ইসির পক্ষে কথা বলেন অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন,
সাম্প্রদায়িকতা বা ফেসবুকের নীতি ভঙ্গ করে, সে ধরনের অপপ্রচার থাকলে তারা তা ডিলিট (সরিয়ে) করবে, ব্লক করবে। বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
অশোক দেবনাথ আরও বলেন,
‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তারা (ফেসবুক) বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করবে। বিভিন্ন বিষয় তারা জানবে।
আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যদি আমাদের কাছে মনে হয় নির্বাচন বিষয়ে সেটা নেগেটিভ প্রচারণা, আমরা রিকুয়েস্ট করলে তারা রিমুভ (সরিয়ে) করবে।
তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই ফাইন্ড আউট (বের করবে) করবে।’
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইসির এই সহযোগিতা নির্বাচনকেন্দ্রিক। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে তা কার্যকর হবে বলেও জানান ইসির এই অতিরিক্ত সচিব।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন,
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে।
আর ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইসির পক্ষ থেকেও একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন,
‘এটা হলো প্রাথমিক একটা আলোচনা। পরবর্তী সময় তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে, যোগাযোগ হবে।’
জানা যায়, ফেসবুকের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে চিঠি দেওয়া হয়।
তাতে বলা হয়, নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মোকাবিলায় ফেসবুকের সক্ষমতা নিয়ে তারা আলোচনা করবে।
ফেসবুক বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছিল ১ অথবা ২ আগস্ট। এই সময় এ বিষয়ে দুজন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে আসবেন।
তাঁদের সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ আগস্ট বৈঠক হলো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান,
ফেসবুক ইসির কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিল। তাই ইসির কারিগরি দলের সঙ্গেই আজ বৈঠক হয়েছে।