প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফির তোলার দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এক সেলফিতেই বিএনপি নেতাদের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে। এখন বিএনপির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক করেছেন। এই বুঝি ক্ষমতা আসে, মুয়ুর সিংহাসন।
দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘এখন কাকে দেখাবে? কে নিষেধাজ্ঞা দেবে? কে ভিসানীতি দেখাবে? এইসব আমরা ভয় পাই না।
আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওদের তো নেতা নেই।’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুসের জন্য শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনের স্বাক্ষরিত বিবৃতি দুই মিলিয়ন ডলার দিয়ে
কেনা হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিবৃতির স্পেসটা কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লেগেছে।
কোথায় থেকে পান এতো টাকা? শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে এগুলো চলছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে এটাই ভালো কাজ।
এখানে যারা আসেন তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো দুইজন অনেক ভালো।
খারাপ ২০ জন অনেক খারাপ। খারাপরা নিজের অর্জনকে বির্সজন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদের মানুষের কাছে ছোট করে।
আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি, আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুবলীগ রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে এক বৈশাখী ঝড়। নেত্রী কোনো ভুল করেননি।
এখন পর্যন্ত যুবলীগ আন্দোলন সংগ্রামে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ। যুবলীগ এখন পর্যন্ত অন্য সংগঠনের অনুকরণীয়।
ভালো কাজের প্রশংসা হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশি করে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবে।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান ভালো বক্তব্য দেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। গদবাধা কথা এখন আর কেউ শুনতে চায় না।
কথা বলতে হবে, রাজনীতির বস্তুগত প্রস্তুতি, সুসংগঠিত প্রস্তুতির আলোকে, বঙ্গবন্ধু ও আমাদের নেত্রীর যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের আলোকে বব্তৃতা দিতে হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।