দীর্ঘ ১৬ মাস পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১৪–দলীয় জোটের শরিকদের বৈঠক।
আগামী বুধবার সন্ধ্য ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জোটের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনা শরিকদের নিয়ে সর্বশেষ বৈঠক করেছিলেন গত বছরের ১৫ মার্চ।
এখন শেখ হাসিনা জোটের শরিকদের নিয়ে এমন এক সময় বৈঠক করতে যাচ্ছেন, যখন নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে বিরোধ থেকে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে গেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকেও সরকারের ওপর একধরনের চাপ তৈরি হচ্ছে।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ঢাকা সফর করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছেন।
এর আগে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি দিয়েছে।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না, সে ব্যাপারে পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল ১৬ দিনের সফরে এখন ঢাকায় রয়েছে।
এমন এক পটভূমিতে ক্ষমতাসীন ১৪–দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এই জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন,
জোটের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁদের বৈঠকে আগামী নির্বাচন, বিরোধী দলের আন্দোলনসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
জোটের আরেকটি শরিক দলের একজন নেতা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা গত বছরের মার্চে জোটের শরিকদের নিয়ে সর্বশেষ যে বৈঠক করেছিলেন,
সেই বৈঠকে আগের তিনটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় নির্বাচনও জোটগতভাবে করার কথা বলা হয়েছিল।
তবে অবহেলা, অবমূল্যায়নসহ নানা অভিযোগে জোটের শরিকদের মধ্যে মান–অভিমান ও ক্ষোভ রয়েছে অনেক দিন ধরে।
বিভিন্ন সময় শরিক দলগুলোর কোনো কোনো নেতা তা নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্যও দিয়েছেন।
শরিক দলের ওই নেতা উল্লেখ করেন, এখন বুধবারের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে জোটের শরিকদের ক্ষোভ ও মান–অভিমানের বিষয়ও আলোচনায় আসতে পারে।
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ওই বৈঠকে জোটের প্রতিটি শরিক দলের দুজন করে শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কেরা বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।