অশিক্ষিত ও মূর্খদের হাতে দায়িত্ব পড়লে দেশের উন্নতি সম্ভব নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বলেছেন, নিজের নয়, দেশের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম জড়িত।
ছাত্রলীগই হচ্ছে সেই শক্তি, যারা এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে। অস্ত্র নয়, ছাত্রলীগের হাতে কলম তুলে দিয়েছিলাম।
অন্যদিকে খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন।
লুটেরা সন্ত্রাসীরা মানুষের জন্য কিছু করতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, মূর্খদের হাতে পড়লে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তিলাভ ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য। দেশের ভাগ্য গড়তেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
‘বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও অনেকে কিছু দেখে না। তারা চোখ থাকতেও অন্ধ।
তাদের বলব, চক্ষু ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি, ১০ টাকায় টিকিট কেটে সেখানে তারা চোখ দেখিয়ে আসতে পারেন,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সর্বজনীন পেনশনের টাকা কখনোই খোয়া যাবে না জানিয়ে এর অপপ্রচার রোধে সজাগ থাকতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
খুনিদের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন ভিক্ষা চাননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংস্থা মানবাধিকারের কথা বলে।
কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কোথায় ছিল তারা? আসলে দেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য শুরু থেকেই চক্রান্ত চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হিলারি ক্লিনটন নির্দেশ দিয়ে পদ্মায় বরাদ্দ বন্ধ করেছিলেন। এরপর নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি লুটপাট, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী। ভোট পাবে না জেনেই দলটি নির্বাচনে আসতে চায় না।
আরও পড়ুন :