ছেলে রাজ্যর জন্মের পর প্রতি মাসের ১০ তারিখে দিনটি কেক কেটে উদযাপন করেন পরীমণি। প্রতিবার শরিফুল রাজ সঙ্গে থাকলেও গেল দুই মাস রাজহীন ছেলের কেক কাটেন তিনি।
মে মাসের মাঝামাঝি বাসা থেকে বেরিয়ে গেছেন রাজ। সেই থেকে আলাদা থাকছেন পরীমণি ও রাজ।
মাঝে দেখা হয়েছে রাজ্যর ১০ মাস পূর্ণ হওয়ার কেক কাটার আয়োজনে। হাজিরা দিয়েই আবার চলে গেছেন। এক ছাদের নিচে আর থাকা হয়নি তাদের।
আসছে ১০ আগস্ট রাজ-পরীমণি দম্পতির সন্তান রাজ্যর বয়স এক বছর পূর্ণ হবে।
বড় পরিসরে দিনটি উদ্যাপন করবেন পরী। এরই মধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।
বিষয়টি দুঃখজনক। রাজ্য বড় হয়ে যখন জানতে পারবে, তার প্রথম জন্মদিনে বাবা পাশে ছিলেন না। তার জন্য এটি কষ্টের হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক মাস হয়ে গেল ভারতে আছে রাজ। মাঝখানে রাজ্য অসুস্থ ছিল, পাশে পায়নি বাবাকে।
আবার জন্মদিনেও পাশে পাচ্ছে না। একবারও ফোন করে ছেলের খোঁজ-খবর নেয়নি সে।
এই যে জন্মদিন পালন করব, কীভাবে করছি, কতটুকু পারছি, কোনো খবর নেই তার। একবার ফোনও করল না সে।
আক্ষেপ নিয়ে পরীমণি বলেন, ছেলের জন্মদিনের আয়োজনের জন্য বাবা হিসেবে একটাবার ফোন করে পরামর্শ দিতে পারত, করল না।
শুনেছি তার স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেছে। কিন্তু তার আরেকটি ফোনও আছে। সেই নম্বরেও ফোন করেছি, ধরেনি।
ফিরতি ফোনও করেনি। আর এখন আমি চাই না, রাজ আমার ছেলের জন্মদিনে আসুক।
মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ।
২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা। একই দিন সন্তান ধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি।
এরপর সে বছরের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন। আর ওই বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
এদিকে চলতি বছরের ২০ মে পরীমণিকে রেখে নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ।
এরপর ২৯ মে দিবাগত রাতে রাজের ফেসবুক আইডি থেকে রাজ ও তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দুজনের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।