গত ৬ আগষ্ট বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিও ধারার চৌরাস্তায় যুবদল নেতা দীন ইসলামকে হত্যার উদ্দেহশ্যে কুপিয়ে যখম করেন ঐ ইউনিয়নের মাদক ব্যাবসায়ী ও আওয়ামী লীগের দোসর মাহাবুব গংরা। তৎকালীন সময় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জুড়ে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেন মাহাবুব ও তার অনুসারীরা। এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির বিপক্ষে প্রতিবাদ করায় যুবদল নেতা দীন ইসলাম তার পরিবার এই হামলার শিকার হন।
গতকাল বুধবার সরমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়,গত ৫ আষ্টের পর থেকেই প্রচুর পরিমানের বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো মাহাবুব ও তার অনুসারীরা। পুরো এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি,ছিনতাইয়ের মহা উৎসবে মেতে উঠেছিলো তারা। প্রশাসনের নিরব ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে পুরো এলাকায় মাদক বাণিজ্যে মেতে উঠে তারা। ঐ সময় এলাকায় এসব রুখতে বাধা দেয় যুবদল নেতা দীন ইসলামের বাবা আলম প্রধান। সে দিনের ক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত ৬ আগষ্ট পুর্ব শত্রুতার জেরে কলাগাছিয়ার নয়ানগর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে বাবু ও মাহবুব গংরা জিওধারা চৌরাস্তায় আল আমিনের মুদি দোকানের সামনে জিওধারা এলাকার আলম প্রধানের ছেলে দীন ইসলামকে পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এক পর্যায়ে তারা দীন ইসলামকে রাস্তায় ফেলে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে, পিঠ, পা ও ডান হাতের আঙুলে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এর পরে মাহাবুব গংরা তাকে কুপিয়ে চলে গেলে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত দীন ইসলামকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল এবং পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়।
এবিষয়ে দীন ইসলামের বড়ভাই আতাহার নিজে বাদী হয়ে বাবু, মাহবুব, মুজাহিদ ও রাহিমের নামোল্লেখ করে ২২ আগষ্ট বন্দর থানার একটি মামলা দায়ের করে। মামলার এজহারসুত্রে জানা যায়, স্বর্নের চেইন ও দীন ইসলামের পকেটে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
অনুসন্ধান বলছে,বিগত সময় এই মাহাবুব,বাবু,মুজাহিদ,ও রহিম বন্দরের চিন্নিহিত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা খান মাসুদের ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলো বন্দর জুড়ে। খান মাসুরে প্রভাব খাটিয়ে পুরো এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াতো তারা। ঐ খান মাসুদের ভয়ে তাকের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারতো না। যারাই প্রতিবাদ করতো তারাই মাহাবুব গংদের হামলার শিকার হতো।
এই বিষয়ে দীন ইসলামের বড় ভাই আতাহার বলেন,
বাবু ও মাহবুবের নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ জিওধারা, নয়ানগর তথা কলাগাছিয়া বাসী। অযথা মানুষকে মাধধর করা, তুচ্ছ কারনে কুপিয়ে জখম করা, চাদা আদায় করাসহ মাদক বিক্রিরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাছাড়া মাহবুব নিজেও একজন মাদক সেবী বলে জানায় এলাকাবাসী। তারা মাহাবুব গংদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত অভিযানের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং এই ঘটনার জন্য সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
নবান্ন টিভি / সুমন ইসলাম