দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহতায় ।
রোগীর ভিড় সামাল দিতে হাসপাতালগুলোর হিমশিম অবস্থা।
খাওয়া-দাওয়া ও দম ফেলার ফুরসত নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের।
হাসপাতালটির চারটি ডেঙ্গু ওয়ার্ডের একটিতে মাত্র ১০ মিনিটে পাঁচজন ডেঙ্গু পজিটিভ রোগী আসেন।
চারজন স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত থাকার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
কেউ খাতায় নাম নিবন্ধন করছেন, কেউবা রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত।
এভাবেই প্রতিদিন ঢাকার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ।
হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, খেতে যাওয়ার সময়ও পাচ্ছেন না।
কিছুক্ষণ পরপর রোগী চলে আসে। একসঙ্গে ৫-৭ জন রোগী চলে আসে।
হাসপাতালটিতে রাজধানীর কমলাপুর থেকে আসেন এক তরুণ।
কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। হঠাৎই মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে।
পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গু। কয়েক দিনের ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দুর্বল করে দিয়েছে তার শরীর।
তার স্বজনরা জানান, ব্রাশ করার সময় হঠাৎ মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলে ইসলামিয়া হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডাক্তাররা জানান, বাসায় আর তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
এদিকে এডিস প্রতিরোধে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমান পরিস্থিতিকে কমিউনিটি ডিজিজ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আন্দোলন শুরু করতে হবে সামাজিকভাবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. কবীরুল বাশার বলেন,
এ অবস্থায় কমিউনিটি যদি যুক্ত না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে ডেঙ্গুর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮০ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ৪৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৮০৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৬৫৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন :