প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। জামাত শুরু হবে সকাল ৯টায়।
১৯৬ তম ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ট্রেনটি ভৈরব থেকে ছাড়বে সকাল ৬ টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮ টায়।
আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২ টায় ভৈরব পৌঁছাবে দুপুর ২ টায়।
অপর দিকে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে সকাল পৌনে ৬ টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়।
জানা গেছে, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে এক লাখ ২৫ হাজার বা সোয়া লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া।’- যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।
বংশ পরম্পরায় এ মাঠে নামাজ পড়ে আসছেন অনেকে। ঈদের দিন বিশাল মাঠ মুসল্লিতে কানায় কানায় ভরে উঠে।
মাঠের বাইরে রাস্তায় ও আশপাশে নামাজ আদায় করেন অনেকে। জামাতকে ঘিরে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
মাঠের লাইন টানা, ওজুখানা নির্মাণ, রং করা, সাজসজ্জাসহ সব কাজ শেষ হয়েছে।
২০১৬ সালে শোলাকিয়া মাঠের কাছে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সে বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিবছর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এবারও ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান,
মাঠে ও বাইরে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি থাকবে না। পুলিশের চারটি নিরাপত্তা চৌকি পার হয়ে প্রবেশ করতে হবে ঈদগাহে।
সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হবে মাঠের ভেতর ও চারপাশ। মাঠের চারপাশে থাকবে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার।
চারটি শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করবে চারপাশ। পোশাকি বাহিনীর পাশাপাশি গোপনে নজরদারি করবে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান,
ঈদের জামাতের জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। মাঠের সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছ।
মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে।
কালেক্টরেটের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। মাঠের বাইরে থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি।