রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলার এ ভবনটি এখন পুড়ে ছাই। ভবনটির বিভিন্ন তলায় পোশাক, খাবারের দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। প্রতিদিন আসতেন শতশত মানুষ।
সেই ভবনে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় অর্ধশত মানুষ পুড়ে মরলেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো ভবনটি পুড়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকার সেই ভবনটির অধিকাংশ ফ্লোরে ছিল খাবারের দোকান। সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান ছিল। এছাড়া তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হতো সেখানে। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যেতেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রেস্টুরেন্টগুলোর প্রতিটিতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত নিয়ে র্যাব-৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান রাত আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ওই ভবনের নিচতলায় একটি কফির দোকান রয়েছে। সেখানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডে ওই বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।