আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস । বিশ্বের ১০০টি দেশে সঙ্গে বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক, ২০২৪’ উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতি গঠনে শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের সম্মাননা জানানো হবে। আর এর মাধ্যমে অন্য শিক্ষকদেরও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হবে। সেই লক্ষ্যে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবসটি উদযাপন নীতিমালা ২০২৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হবে। এ অবস্থায়, দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসান ভাইজ।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুজহাত ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ১০০টি দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবসটি’ পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে ইআই প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।