আজ ৮ আগস্ট, মঙ্গলবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী।
১৯৩০ সালের এই দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে।
তিনি ছিলেন একজন আদর্শ নারী, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ মা।
অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৭ আগস্ট) দেওয়া এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার ডাক নাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
নানা আয়োজনে পালিত হবে দিবসসটি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন,
আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো।
দুপুর ২টায় স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিকাল ৩টায় আলোচনাসভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগ।
এ ছাড়া গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।
‘বাংলাদেশের মাতা, বাংলাদেশের নেতা’ শীর্ষক ছাত্রী সমাবেশ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী,
সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এর নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন।
তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন।
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন,
তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন।
তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দিতেন।
আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই তার সহধর্মিণী আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত।
এ দেশের রাজনীতিতে তিনি অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতার সঙ্গে খুনিরা বঙ্গমাতাকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।