1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : nobannotv.com : Nobannotv com
দেশকে নিয়ে যারা খেলতে চায়, তাদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে — Nobanno TV
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

দেশকে নিয়ে যারা খেলতে চায়, তাদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে

নবান্ন
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩
  • ১৬৪ বার পঠিত
দেশকে নিয়ে যারা খেলতে চায়, তাদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে

দেশকে নিয়ে যারা খেলতে চায়, তাদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, দেশের উন্নয়নে অনেকের চক্ষুশূল হয়।

ইতালিতে কর্মব্যস্ততার মাঝে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রোমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় এ হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,

কিছু লোক আছে যারা অপরাধ করে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

যারা কখনোই দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি, এমন কিছু লোক এবং কিছু অপরাধী যারা অপরাধ করে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে,

তারা দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,

তারা দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করেছে, তাই তারা হাজার কোটি টাকা দেশের বিরুদ্ধে ব্যয় করতে সক্ষম।

‘তাদের কত আছে! তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।’

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এমনও কিছু মানুষ আছেন, যারা দুর্নীতি বা অপরাধ করার মতো নানা কারণে চাকরি হারিয়েছেন,

এখন বিদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

আমি জানি না, তারা এত টাকা কোথায় পায়।

 

শেখ হাসিনা বলেন,

কেউ খোঁজ করলে খুব পরিচিত কিছু মুখ দেখতে পাবেন এবং তারা সর্বত্র মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

অনেক সময় বিদেশিরা ভুল তথ্যের কারণে বিভ্রান্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,

প্রতি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে দু’একটি দেশ ব্যস্ত থাকে।

তিনি আরও বলেন,

‘এছাড়া, যারা খুনিদের আশ্রয় দেয় এবং অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়।’

যারা অগ্নিসংযোগের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের মানবাধিকার রক্ষায় তারা ব্যস্ত কিন্তু নিহত, আত্মীয়-স্বজন বা যারা দগ্ধ হয়েছেন, তাদের কোনো পরোয়া করেন না।

প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন,

‘দুর্ভাগ্যবশত যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নিয়োজিত, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর ফলে তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে।’

এটি মানুষকে তাদের অপরাধ প্রবণতা বাড়াতে উৎসাহিত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন,

‘যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিরোধ করেছিল, তাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিসের জন্য এটা করা হলো?’

তিনি বলেন,

তারা একদিকে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আওয়াজ তুলছেন, অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে কথা বলছেন।

এই দ্বিচারিতা চলছে বিশ্বময়। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিষয়ে তার সরকারের অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মানবাধিকারের কথা বলতে গিয়ে বলেন,

মানবাধিকার রক্ষা কেউ করলে, সেটা আওয়ামী লীগই করে, আর যারা মানবাধিকারের কথা বলে তারা মানুষ হত্যা করে।

দেশের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা তার বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেছে, তারা এখনো সে দেশে পলাতক রয়েছে।

তিনি বলেন,

বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়নি।

‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং যারা মানবাধিকার রক্ষা করে, তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া- আমি এটিকে একটি খেলা হিসেবে দেখি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,

আমরা যদি মানবাধিকারে বিশ্বাস না করি এবং আমাদের মধ্যে যদি মানবিক দিকগুলো না-ই থাকে, তাহলে কীভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 

নবান্ন টিভি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com