বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান শেষে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
গত ২৫ অক্টোবর সকালে, তিনি ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এই বৈঠকের পর, বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো’র একটি অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসির মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরো’র অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ এছাড়া,এই সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইসি বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরো’র পাঁচটি ভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা একই দিন ২৫ অক্টোবর গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন এবং বক্তৃতা করেন।
বিকেলে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইসি কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক এবং ইসি কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুটা উরপিলাইনেনও
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডের লেয়েনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন।
২৬ অক্টোবর সকালে, তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সাথে এবং লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সাথে দুটি পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সমাপনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা পরে বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন।
টিভি চ্যানেল ‘ইউরো নিউজ’ এবং ‘পলিটিকো’ যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়।