জাতীয় নির্বাচনের তফসিল আগামী সেপ্টেম্বরে ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে এটা তার ‘অনুমাননির্ভর’ সময়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসির এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়েছে।
তাহলে কী নির্বাচন আগাম অনুষ্ঠিত হবে- এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে।
ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সিইসিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,
‘আপনারা রোডম্যাপে উল্লেখ করেছেন যে এই বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে কিংবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন করতে চান।
সংবিধানও সেটা বলছে। সে ক্ষেত্রে তফসিল কোন মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?’
সিইসি বলেন,
‘আমার যত দূর মনে পড়ে, ৯০ দিন আগে তো করতে হবে। সেপ্টেম্বরের আগে এটা হওয়ার কথা না। আমরা এখনো এটা স্থির করিনি।
এ বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,
সাক্ষাৎকারে তার যে বক্তব্য, সেটা ছিল অনুমাননির্ভর। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে কমিশনে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ (২৯ জানুয়ারি) দিক থেকে আগের ৯০ দিন।
সিইসি বলেন,
কবে তফসিল ঘোষণা করতে হবে, সেটা আইনে উল্লেখ নেই। সেটা ৫০, ৬০ বা ৭০ দিন আগেও হতে পারে, অক্টোবরের শেষেও হতে পারে।
উল্লেখ্য,
সংবিধানে বলা আছে, জাতীয় সংসদের মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি।
ফলে সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।
তবে সংসদের মেয়াদ পূর্তির ৯০ দিনের আগে তফসিল ঘোষণা করা যাবে কি না, তা আইনে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই।
অবশ্য সংবিধানে এর আগেও নির্বাচন করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
সংবিধানে বলা আছে, ‘মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
অর্থাৎ যেদিন সংসদ ভাঙবে, তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।