চট্টগ্রাম-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম সরাসরি ব্রজগেজ লাইন চালু হলে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে কলকাতার সঙ্গে নতুন রেল সার্ভিস চালুর পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ. বি. এম. ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. শফিকুল আজম খাঁন, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ এবং নাদিরা ইয়াসমিন জলি অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিন জোড়া আন্ত:দেশীয় ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে।
মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও মিতালী এক্সপ্রেস নামের ওই সার্ভিসগুলোতে ব্রডগেজ কোচ ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিচ্ছিন্নভাবে ব্রজগেজ লাইন বিদ্যমান রয়েছে।
এই অবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সম্পূর্রভাবে ব্রজগেজ লাইন হলে চট্টগ্রাম-কলকাতা নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।
এদিকে বৈঠকে ঢাকা সার্কুলার রেললাইন নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আর রেলের যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রেলওয়েতে ডাবল-ডেকার কোচ সংযুক্তকরণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগামে অবস্থিত ঐতিহাসিক ইউরোপীয়ান ক্লাব ও রেলওয়ে যাদুঘর যথাযথভাবে সংরক্ষণের তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সত্ত্বেও রেলওয়ের ৬৪ হাজার একর জমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণে করা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জোন কর্তৃপক্ষকে বৃক্ষরোপণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া বিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সাটিয়াজুরি স্টেশনে শিগগিরই ট্রেন থামবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন :