দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, গরিবরা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিলে কোমরে দড়ি পড়ে, অথচ বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না।
বড় খেলাপিরা ঋণ পরিশোধ যাতে না করতে হয় সেজন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করেন, ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া ঠেকানোর জন্য বড় বড় আইনজীবী নিয়োগ করেন।
নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ঋণ পরিশোধ না করার আবেদনের শুনানির সময় ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন আদালত।
সোনালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির এক মামলার শুনানিতে
বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
আদালতে আজ সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শামীম খালেদ আহমেদ। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম।
আইনজীবীরা জানান, ১৯৯৭ সালে ফজলুর রহমান অ্যান্ড কোং প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা থেকে ৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয়।
২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফজলুর রহমান মারা গেলে ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক।
পরে সুদসহ ঋণ পরিশোধের অংক বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। দেড়শ কোটি টাকার বিপরীতে ২৬ বছরে মাত্র ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এ কথা জেনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
পাশাপাশি মামলার বিস্তারিত জেনে ব্যবসায়ীর পক্ষের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন সর্বোচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধ না করার আবেদন খারিজ করে ঋণ পরিশোধের আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন :