কোরবানির ঈদ মানেই নিজের কেনা পশুকে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা। এজন্য ঈদের আগে সবাই সামর্থ্যের মধ্যে পশু কেনা শেষ করেন। এরপরই ছোটেন কামারপট্টি তে; পশু কাটার সরঞ্জাম – দা, ছুরি আর চাপাতির খোঁজে।
সেই সঙ্গে যোগ হয় গাছের গুঁড়ি, হোগলার পাটি আর পশুর খাবার কেনা।
আর এসবকে কেন্দ্র করে শহরের অলিগলি এবং রাস্তার ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠে লাখ লাখ টাকার ক্ষণস্থায়ী বাজার।
একদিন পরই (বৃহস্পতিবার) ঈদুল আজহা। খুব একটা সময় নেই হাতে। এ অবস্থায় বিশাল কর্মযজ্ঞে মেতে ওঠেছে কামারপট্টি ।
টুং টাং শব্দে একেক জনের হাত যেন চলছে যন্ত্রের গতিতে! লক্ষ্য, মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় পশু কাটার সরঞ্জামাদি তুলে দেয়া।
কোরবানির পশু কেনার পর অনেকেই ছুটছেন কামারপাড়ায়।
পশু জবাইয়ের ছুরি-চাকুসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে ভিড় বেড়ে গেছে কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন কামারপট্টিতে।
দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে বেড়ে গেছে এসবের চাহিদা।
কারিগররাও কয়লার আগুনে পোড়ানো লোহাকে হাতুড়ির আঘাতে আঘাতে রূপ দিচ্ছেন ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা-বটিসহ হরেক রকমের সরঞ্জামে।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি।
ছোট, বড় বা মাঝারি মানভেদে চাকুর দাম নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।
আর চাপাতি কেজিতে দাম হাঁকা হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।
শুধু দা-ছুরিই নয় রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী বাজারে দোকানিরা বসে গেছেন গাছের গুঁড়ি, হোগলার পাটি আর পশুর খাবার বিক্রিতে।
তিন দিনের এ বাজারে দোকানিদের কেউ ডাব বিক্রেতা, কেউবা এটিএম বুথের গার্ড।
আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার এগুলোরও দাম কিছুটা বাড়তি। তবুও পশুর আকার অনুযায়ী সবাই কম-বেশি কিনে নিচ্ছেন।
এসব ভাসমান দোকান থাকবে ঈদের দিন ভোর পর্যন্ত। লাভ-ক্ষতি যাহোক, ঈদের এ আমেজ যেন নানান পেশার সমাহারে উৎসবের আলো ছাড়ায় – এ প্রত্যাশা সকলের।