এক সময় বাংলাদেশ চাঁদে যাবে, উড়োজাহাজ বানাবে, এমন স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে নিজ কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ স্বপ্নের কথা জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
সেই চিন্তাটা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টা বানিয়েছি, এমনকি অ্যারোনটিক্যাল সেন্টারও করে দিয়েছি।
আমাদের সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ’
এ সময় শিক্ষাক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন,
আমরা ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।
এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, ডিজিটাল,
ইসলামি-আরবি, টেক্সটাইল, মেরিটাইম, এভিয়েশন ও এরোস্পেস,
বেসরকারি ফ্যাশন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করছি।
অর্থের দিকে না ছুটে জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশ করতে শিক্ষার্থীদেরকে পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘কোনো ধন সম্পদ কাজে আসবে না, একটা জিনিস কাজে আসবে সেটা হচ্ছে শিক্ষা। ’
তিনি বলেন,
‘আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা পড়া শেষ করতে পারিনি।
ছোটবেলা থেকে আমাদের বাবা বারবার জেলে গেছেন, আমাদেরও পড়ার ব্যাঘাত ঘটেছে।
১৯৭৫ সালে আমি মাস্টার্সে পড়ছি, রেহানা তখন গার্লস কলেজে ইন্টারমেডিয়েট পড়ে,
তাকে আমি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম লন্ডনে, ফিরতে পারলাম না।
পড়াশোনা শেষ করতে পারলাম না। এরপরে অনেক অনারারি ডিগ্রি পেয়েছি, সেটা তো আর মূল পড়াশোনা না। ’
ফেলোদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
এ সময় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে, সেজন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
পৃথিবীর সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, কোনো মতে পিছিয়ে থাকবো না, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ’
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৪ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে এগিয়েছে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,
‘তখন কী ছিল, এখন পর্যন্ত কী পরিবর্তন এসেছে, শিক্ষা দীক্ষায় কী করতে পেরেছি দেখুন।
পেরেছি এই কারণে যে, নিজের দেশটাকে জানতে হবে, অনুভব করতে হয়।
প্রকৃতির কাছ থেকেও জানতে হয়, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে জানাটা দিয়ে উন্নয়ন করলে তা গণমুখী হবে, মানুষের জন্য কিছু হবে। ’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৪৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে ফেলোশিপ তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি অর্জনের জন্যে ৩৮ জনকে মাস্টার্স ও ১০ জনকে পিএইচডি ফেলোশিপ দেওয়া হয়।