চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী; যা গত বছরের প্রথম দিনের পরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র।
প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন শিক্ষার্থী বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৫০৮ জন, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৫৬ জন, যশোরে ১ হাজার ৩২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭৫ জন, বরিশালে ৭২৭ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ১৩ জন, ময়মনসিংহে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষায় অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানান, প্রতিবছরই কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে। ফরম ফিলআপ করার পরও বিভিন্ন কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নেন না। গতবছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রায় ১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
তিনি বলেন, অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে পরীক্ষার বিষয়ে পূর্ণ প্রস্তুতির অভাব, অসুস্থতা বা দেশের বাইরে যাওয়ার কারণে ও অনেক সময় ফরম ফিলআপ করা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন না।
পরীক্ষা শুরুর পর তপন কুমার সরকার বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের পরীক্ষা শুরুর পর বৃষ্টিপাত ও যানজটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ভোগে পড়েছে। তাই তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা চলাকালে বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত সময় দিতে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেট ছাড়া আজ সারাদেশে আটটি শিক্ষা বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্যদিয়ে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টিপাত ও যানজটের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারায় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।