আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চালু হবে ট্রেন। এরই মধ্যে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটারে রেলপথ বাসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
আর ভাঙ্গা থেকে যশোর ৮৭ কিলোমিটার রেলপথের কাজ বাকি আছে ৩০ ভাগ।
রেলপথটি পুরোপুরি চালু হলে দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষ।
গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সাথে উন্মোচন হয় যোগাযোগের নতুন দ্বার। তবে রেলপথ বসানোর কাজ শেষ না হওয়ায় পিছিয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
সেতু উদ্বোধনের এক বছর দুই মাস পর হচ্ছে অপেক্ষার অবসান। আগামী সেপ্টেম্বরে ট্রেন চালু করতে চায় রেল মন্ত্রণালয়।
সেই লক্ষ্যে সেতুর দুপাশেই চলছে কর্মব্যস্ততা। ঢাকা-ভাঙ্গা ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে শেষ হয়েছে ৭৭ কিলোমিটারের কাজ।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্রিজ ও ভায়াডাক্ট ইঞ্জিনিয়ার শশাঙ্ক বিশ্বাস জানান,
স্টেশন নির্মাণ, সিগন্যাল স্থাপন সহ নানা আনুষঙ্গিক কাজ চলছে দ্রতগতিতে।
রেলপথের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিলো ২১ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ। জলযান চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করে নির্মাণ হয়েছে চারটি বড় রেল ব্রিজ।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছন,
রেল সংযোগের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
আর ঢাকা- মাওয়া অংশের ৭৬ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরেই কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, জানালেন মন্ত্রী।
ভাঙ্গা থেকে যশোর ৮৭ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ ভাগ। ১৪টি নতুন রেল স্টেশন নির্মাণও শেষ পর্যায়ে।
আগামী বছরের জুনে রুটটি পুরোপুরি চালু হলে ঢাকা থেকে ট্রেনে যশোর যেতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পর্যন্ত (প্রকল্প) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর এ রুটটি যুক্ত হবে ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে।