ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে জমজমাট লড়াইয়ে মেতেছিল জার্মানি ও ডেনমার্ক। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাধা হেনেছিল বজ্রপাত ও বৃষ্টি। ছিল একাধিক গোল বাতিল ও পেনাল্টি। সবকিছু মিলিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে স্বাগতিকরাই। ডেনমার্ককে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মানি।
ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ডেনিশদের ২-০ গোলে হারিয়েছে কোচ নাগেলসম্যানের দল। জার্মানদের হয়ে গোল দুটি করে কাই হাভার্টজ ও জামাল মুসিয়ালা।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ করা জার্মানি দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে জাল থেকে বল কুড়িয়েছে। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের ফ্রি কিক থেকে জার্মান রক্ষণে জটলার মধ্যে বল পান ডিফেন্ডার জোয়াকিম অ্যান্ডারসেন। বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠালেও ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা গেছে ডেনিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার টমাস ডেলানি অফসাইড ছিলেন। গোলটি বাতিল করা হয়।
তিন মিনিট পর সেই অ্যান্ডারসেনই খলনায়ক! বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল এর অপরাধ করে বসেন। পেনাল্টি থেকে ৫৩ মিনিটে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন হাভার্টজ। ৬ মিনিট পর দারুণ একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ডেনিশ রক্ষণে ঢুকে পড়লেও পোস্টের বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন হাভার্টজ। তবে দ্বিতীয় গোল তুলে নিতে জার্মানি বেশি দেরি করেনি। ৬৮ মিনিটে শোলটারবেকের লম্বা পাস ধরে ডেনিশ রক্ষণ ভেঙে গোল করেন জার্মান তারকা মুসিয়ালা। চলতি ইউরোয় এটি তাঁর তৃতীয় গোল।
জার্মানি জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত। লেরয় সানে এবং হাভার্টজ দ্বিতীয়ার্ধের গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। পোস্টের বাইরে বল মেরেছেন দুজনেই। বদলি নামা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান রিৎজ ৯১ মিনিটে বল জালে পাঠালেও সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
প্রথমার্ধে দাপুটে শুরু করেছিল জার্মানি। প্রথম তিন মিনিট গতিতে ডেনিশ রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে জার্মানি। পরের মিনিটেই ক্রস থেকে হেডে বল জালে পাঠিয়ে জার্মান সেন্টারব্যাক নিকো শোলটারবেক ভেবেছিলেন একাদশে ফিরেই গোল পেয়েছেন। ভুল। ক্রসটি আসার সময় বক্সে ডেনিশ খেলোয়াড় ফাউলের শিকার হওয়ায় ভিএআর এর মাধ্যমে গোলটি হয়। ৭ মিনিটে জোরাল শটে ডেনমার্ক গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেলের পরীক্ষা নেন জশুয়া কিমিখ।
ম্যাচের আধা ঘণ্টা পেরিয়ে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে (৩৬ মিনিটে) খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন রেফারি মাইকেল অলিভার। খেলোয়াড়েরা মাঠ ছেড়ে টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমের ফিরে যান। আবহাওয়া একটু ভালো হলে প্রায় ২০ মিনিট পর খেলা পুনরায় শুরু হয়।
৩৭ মিনিটে কাই হাভার্টজের বুলেট গতির হেড সেভ করে নিশ্চিত গোল বাঁচান স্মাইকেল। শরীর সোজা আসা বুলেট গতির হেড দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকান। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জার্মান গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারের দৃঢ়তায় নিশ্চিত গোল পায়নি ডেনমার্ক। টমাস ডেলানির পাস থেকে নয়্যারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ডেনিশ ফরোয়ার্ড রাসমুস হয়লুন্দ।
প্রথমার্ধে ৫৯ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ডেনমার্কের রক্ষণে ৩৪টি আক্রমণ করেছে জার্মানি। শট নিয়েছে ৮টি। ডেনমার্ক ১৭টি আক্রমণ থেকে শট নিয়েছে ৭টি।