তুরস্কে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করায় হাফেজ মুয়াজকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেয় সাধারণ জনতা। ২০১৬ সালের পর তুরস্কের এ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় জোহরের নামাজের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
দেশে ফিরে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘সবার কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। এটা আমার মর্যাদা নয়, এটা মহান আল্লাহর কোরআনের মর্যাদা। মহান আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছেন বলে আমার জন্য সহজ হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চাই, দুনিয়াতে যেভাবে প্রথম হয়েছি এভাবে জান্নাতুল ফিরদাউসে এক সঙ্গে থাকতে পারি।’
ভবিষ্যতে কী হতে চায় জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার স্বপ্ন আমি ভবিষ্যতে আল্লাহর দীন শিখে যোগ্য আলেম হয়ে পবিত্র কোরআনের খেদমত ব্যাপকভাবে করা।’
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে বিমানবন্দরে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মারকাজু ফয়জিল কোরআনের পরিচালক মাওলানা মোর্তজা হাসান ফয়েজি মাসুমসহ বহু আলেম, ছাত্র ও সাধারণ জনতা।
এর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়নে এ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে দেশের শতশত মেধাবী হাফেজদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে তুরস্ক আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন মুয়াজ মাহমুদ।
এছাড়া, চলতি বছরের ২১ আগস্ট মক্কায় ৪৪তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১২৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থান অর্জন করে। সে সময় হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ১৫ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, হাফেজ মুয়াজ ঢাকার মিরপুর ১-এ অবস্থিত মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি, ঢাকার কিতাব বিভাগের ছাত্র। তিনি এ মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়ে এখন কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছেন।