রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এখন পবিত্র মদিনায়। শনিবার (০১ জুলাই) রাতে স্ত্রীসহ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে তিনি মদিনায় পৌঁছান।
স্ত্রীসহ সফরসঙ্গীদের নিয়ে সোমবার (৩ জুলাই) তার দেশে ফেরার কথা।
এর আগে, পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ দিনে তিনি ৩০ জুন (শুক্রবার) বিকেলে কা’বা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন হজ পালনের উদ্দেশে রাজকীয় অতিথি হিসেবে গত ২৩ জুন তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে নিয়ে সৌদি আরবে যান।
রাষ্ট্রপতি তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে নিয়ে ২৪ জুন রাজকীয় অতিথি হিসেবে ওমরাহ পালন করেন।
২৬ জুন (৮ জিলহজ) তারা রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে মিনায় যান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ২৭ জুন (৯ জিলহজ) আরাফাতের ময়দানে যান।
অন্যান্য হজযাত্রীর মতো আনুষ্ঠানিক হজ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সেখানে পুরো দিন কাটান।
সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাত ত্যাগ করেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন।
রীতি অনুযায়ী সব হাজি সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান।
ফজরের নামাজ আদায় করে বুধবার (১০ জিলহজ) আবার মিনায় ফিরে যান।
রাষ্ট্রপতি সেখানে জামারাত আল-আকাবায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, পশু কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন করেন এবং মক্কায় তাওয়াফ আল-ইফাদাহ সম্পন্ন করেন।
এর মধ্যে রয়েছে তিনটি স্তম্ভ, যা শয়তান এবং পাপের প্রতীকস্বরূপ।
ঈদ-উল-আযহার প্রথম এ দিনে রাষ্ট্রপতি বড় শয়তানকে ছোট নুড়ি বা পাথর নিক্ষেপ করেন, যা তিনি মুজদালিফা থেকে রাতে সংগ্রহ করেছিলেন।
এ কার্যক্রমটি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর তিনটি স্থানে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার একটি অনুকরণ।
কথিত আছে যে, সেখানে তিনি তাঁর পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি দেয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ পালন থেকে শয়তান বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন।
পরে, রাষ্ট্রপতি আবার মিনা থেকে মক্কার রয়েল প্যালেসে যান।
গতকাল (শনিবার) মক্কায় তিনি বিদায়ী তাওয়াফ করেন। সেখান থেকে মদিনায় আসেন।
রাষ্ট্রপতি এখানে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন।
রাষ্ট্রপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-৩৩৮) রোববার
(২ জুলাই) মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি সোমবার (৩ জুলাই) ঢাকায় অবতরণ করার কথা।