পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল।
এরইমধ্যে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো জানা যায়নি দুর্ঘটনার কারণ।
এদিকে, ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
রোববার (৬ আগস্ট) পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছিল যাত্রীবাহী হাজারা এক্সপ্রেস ট্রেন।
পথে সিন্ধু প্রদেশের নবাবশাহ এলাকায় ট্রেনের ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ভেতরে আটক পড়েন বহু যাত্রী।
খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে যোগ দেন।
আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যাও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলকর্মকর্তারা ছুটে যান।
অনেকে আবার আগে থেকেই সেখানে ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সও পাঠানো হয়।
আহতদের চিকিৎসায় স্থানীয় নবাবশাহ এবং শুক্কুর হাসপাতালে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
টানা ৪ ঘণ্টা উদ্ধারকাজ চলার পর তা সমাপ্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
তবে রেললাইনের ওপর থেকে বিধ্বস্ত ট্রেনের বগিগুলো সরিয়ে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।
দেশটির রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটি অথবা মনুষ্য সৃষ্ট কারণে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
পাঞ্জাবে এক জনসভায় যোগ দিয়ে এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কমনা করেন তিনি।
অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে পাকিস্তানে প্রায়ই ঘটে ট্রেন দুর্ঘটনা।
এর আগে, ২০২১ সালে সিন্ধু প্রদেশে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন :