ফিলিপিন্সের পর তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরি।
এর প্রভাবে প্রচণ্ড বাতাস ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে অঞ্চলটিতে।
এরইমধ্যে তাইওয়ানের অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
তাইওয়ানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯১ কিলোমিটার গতিতে দ্বীপটিতে আছড়ে পড়ে টাইফুন।
এর আগে বুধবার (২৬ জুলাই) ফিলিপিন্সের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরি।
এর প্রভাবে প্লাবিত হয় বহু এলাকা। একইসঙ্গে দেখা দেয় ভূমিধস।
অনেককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হলেও দেশটিতে টাইফুনের আঘাতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ।
এরইমধ্যে অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় তাইওয়ানের অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ আছে দক্ষিণাঞ্চলের সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও দক্ষিণ ও পূর্ব তাইওয়ানের মধ্যে রেল যোগাযোগ সেবাও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে টাইফুন ডকসুরি।
এরইমধ্যে ওই অঞ্চলে রেড এলার্ট জারি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসেই চীনের গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানে টাইফুন তালিম।
প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে ‘টাইফুন’ বলা হয়। চীন, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও জাপানে প্রায় প্রতিবছর একাধিক টাইফুন আঘাত হানে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট টাইফুনটির নামকরণ করা হয় ‘ডকসুরি’।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই আবহাওয়াবিদরা এটিকে ‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন :