মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া এই ঘটনায় ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারে প্রতি বছর এই সময়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সারাবিশ্বেই চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ঘটনাগুলো আরও খারাপভাবে দেখা দিয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ইয়াঙ্গুনের উত্তর-পূর্বে বাগোতে কিছু বাসিন্দা দ্রুত সরিয়ে নেয়া হলেও অনেকে পানির মধ্যে আটকা পড়েন।
বাগোর বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সি সোয়ে মিন অং বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বাগোতে প্রতি বছর বন্যা হয়, তবে এবারের বন্যা সবচেয়ে খারাপ।
তিনি বলেন, ‘কিছু পরিবার একটি মঠে চলে গেলেও অন্যরা এখানে থেকে গিয়েছিল।
কারণ তারা ভাবেনি যে, পানি খুব বেশি হতে পারে।
এমনকি কিছু এলাকায় পানির স্তর আমার উচ্চতার দুই গুণ বেশি।’
মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক লে শোয়ে জিন ও বলেছেন,
বন্যা ও ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শুক্রবার সারা দেশে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নেয়া পরিবারগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়ের অনুমান,
ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চলতি আগস্ট মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন :