ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ভারি বর্ষণ হয়েছে।
এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
হরিয়ানার হাথনি কুণ্ড ব্যারেজ থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় যমুনায় পানি আরও বাড়ছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে যমুনা নদীর পানির স্তর আবারও বেড়েছে।
সকাল ৮টায় পানির স্তর ২০৫.৫০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
তার এক ঘণ্টা আগে রেকর্ড করা হয় ২০৫.৪৮ মিটার।
এর তিন ঘণ্টা আগে রেকর্ড করা হয় ২০৫.৪৫ মিটার।
এর আগে গত ১৩ জুলাই পানির স্তর প্রায় বিপৎসীমার ৪ মিটার ওপরে ২০৮.৬৬ মিটার রেকর্ড করা হয়।
রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন,
রোববার বিকেলে হস্তনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে ছেড়ে দেয়া পানি কিছুটা বাড়লেও এর প্রভাব খুব বেশি নাও পড়তে পারে।
তিনি বলেন, সোমবার (১৭ জুলাই) প্রথম দিকে পানির স্তর ২০৫.৩৩-এর নিচে নেমে আসতে পারে।
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ছটি জেলায় সরকারি,
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও বেসরকারি স্কুল আগামী দুদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ জেলাগুলো হলো: পূর্ব, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব।
বিভিন্ন অফিস-আদালতের কথা চিন্তা করে দিল্লির কয়েকটি প্লাবিত রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তবে যমুনা নদীর পানি বাড়ার ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এখনো জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ভয়াবহ যানজট।
পানির ওপর দিয়ে গাড়ি চলতে পারছে না।
ফলে শহরটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আইটিও, রাজঘাট এলাকা এখনো পানির নিচে। কর্মকর্তারা বলছেন,
সুপ্রিম কোর্ট এলাকা থেকে পানি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে রাত-দিন।
আরও পড়ুন :