সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৯ জন।
এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে।
হাঙ্গাং নদীর পানি বিপদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানির তোড়ে ভেঙেছে বাঁধ, ধসে পড়েছে পাহাড়। বাড়ছে প্রাণহানিও।
বন্যায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থা দক্ষিণ-পূবাঞ্চলীয় নর্থ গিয়াংসাং এবং চুংচাং প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকা।
অঞ্চলগুলোতে গেল কয়েকদিনে রেকর্ড ৯০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০ হাজার হেক্টর কৃষিজমি।
এছাড়া,
ভূমিধসে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পাশাপাশি অনেকে নিখোঁজ থাকায়, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম জিওল্লা,
চুংচেং এবং গিয়াংসাং প্রদেশে নতুন করে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।
এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৪টি শহরের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
সোমবার (১৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে দুর্গত মানুষদের সব রকমের সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।
গেল শনিবার (১৫ জুলাই) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর চেওংজুর একটি আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
এতে ভেতরে ঠিক কতজন আটকে আছেন তা জানা না গেলেও, বাসসহ ১৫টি গাড়ি ডুবে আছে।
এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দমকলবাহিনী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অন্তত ৯০০ কর্মী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন :