করোনা ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সামনে এসেছে আরও এক মহামারি। ভয়াবহ এই মহামারির নাম ‘ডিজিজ এক্স’।
তবে সুখবর হলো ভয়াবহ এই রোগটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আবিষ্কার করা হচ্ছে এর ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।
২০০ জন বিজ্ঞানীর একটি দল সেখানে কাজ করছেন। খবর ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের।
বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনে ‘ডিজিজ এক্স’ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই দমিত হয়ে যাবে। এই মহামারিটি করোনার মতো তাণ্ডব দেখাতে পারবে না।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস বলেন,
আমরা এখানে আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছি।
তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি প্রতিরোধ করতে পারব।
কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।
শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য সরকারই এর জন্য ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি নরওয়ের গেটস ফাউন্ডেশন এবং ওয়েলকাম ট্রাস্টও এই সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ডিজিজ এক্স কী?
কিন্তু এই ভাইরাসের সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি যার কারণে এই ভাইরাসটি ‘ডিজিজ এক্স’ নামে পরিচিত।
কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা অজানা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্ক উলহাউস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,
পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যা যে কোনো সময়ে নতুন একটি অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে।
কেমন হতে পারে এই ‘ডিজিজ এক্স’?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিও এক ধরনের Zoonotic রোগ হওযার আশঙ্কাই বেশি।
কী এই Zoonotic রোগ?
সাধারণত মানুষ থেকে অন্য প্রাণীদের মধ্যে বা অন্য প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এমন রোগকেই Zoonotic রোগ বলা হয়।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা তেমনই কোনো অসুখ হতে চলেছে এই ‘ডিজিজ এক্স’।