ফ্রান্সে টানা পঞ্চম দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ সহিংসতা।
শনিবার (১ জুলাই) রাতে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের।
শনিবার (১ জুলাই) রাতে দক্ষিণের শহর মার্সেইতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ।
রাতভর বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এদিন রাতে মার্সেই থেকে ৫৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন টুইটার বার্তায় বলেন, গত রাতে মোট ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তাবাহিনীর প্রশংসা করেন তিনি।
তার দাবি, তাদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে অন্যদিনের তুলনায় শান্ত একটি রাত পার করেছে ফ্রান্স।
অপরদিকে প্যারিসের বিক্ষোভকারীদের আইকনিক চ্যাম্পস-এলিতে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় তারা সেখানে আর জড়ো হতে পারেননি।
তবে তা সত্ত্বেও প্যারিসে ১২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে রাত ৯টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে প্যারিসের পশ্চিমে ন্যান্টা এলাকায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ১৭ বছর বয়সি তরুণ নাহেল এমকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
সড়কে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করায় ওই কিশোরকে গুলি করা হয়।
এ ঘটনায় গত চার দিন ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।
পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :