হঠাৎ করেই ১৮ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
একই সঙ্গে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়েও শুরু হয়েছে নানা বিশ্লেষণ।
২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডার পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার দল লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব ঠিকঠাক মত দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন জনমত জরিপে সাধারণ কানাডীয়দের মধ্যে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনকী দলের ভেতরের লোকজনও তাকে নিয়ে তেমন আশাবাদী হতে পারছে না।
এর মধ্যেই বুধবার (২ আগস্ট) স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
এই বিচ্ছেদ যে ট্রুডোর ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় সংকটগুলোর অন্যতম সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
৫১ বছরের ট্রুডো বরাবরই পরিবারের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
২০১৫ সাল থেকে টানা তিনবার তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সবসময় সোফি এবং এই দম্পতির তিন ছেলে-মেয়েকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করেন ট্রুডো।
ওই রদবদলের মাধ্যমে তিনি মূলত তার মূল অর্থনৈতিক দল গঠনে অধিক মনোযোগ দিয়েছেন।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে জীবনযাপন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে কানাডার সাধারণ মানুষকে।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলো বলছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে জনগণ ট্রুডোর ওপর বিরক্ত।
ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডোও লিবারাল পার্টি থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
ট্রুডোর আগে তার বাবা পিয়েরে ট্রুডোই ছিলেন কানাডার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বরত অবস্থায় স্ত্রী মার্গারেটের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
১৯৭৭ সালে বিচ্ছেদ হয় এবং ১৯৭৯ সালে কানাডার পার্লামেন্ট নির্বাচনে পিয়েরে ট্রুডোর দল হেরে যায়।
আরও পড়ুন :