পাকিস্তানে মাওলানা ফজলুর রেহমানের জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম ফজলের (জেইউআইএফ) কর্মী সম্মেলনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৬।
আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩০ জন।
এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে এটাই প্রতীয়মান হয় যে,
এই হামলার নেপথ্যে আছে সন্ত্রাসী সংগঠন দায়েশ বা আইএস।
আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে বাজাউর এলাকায় রোববার সম্মেলন ও র্যালি চলছিল জেইউআইএফের। সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।
ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ অফিসার নাজির খান জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর বাজাউর ও আশপাশের এলাকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে অবস্থা যাদের সংকটজনক, তাদেরকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে বাজাউর থেকে পেশোয়ারে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে,
এখনও তদন্ত চলছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তারা আত্মঘাতী হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
অনলাইন জিও নিউজ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। নাজির খান বলেছেন,
সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ইসলামাবাদের অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যায় গত বছর।
তার পর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে পেশোয়ারে একটি মসজিদে বোমা হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে ১০০ জন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি জমা দেওয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে,
আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে পারে টিটিপি। এর মধ্য দিয়ে তারা একটি অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে। যার অধীনে দক্ষিণ এশিয়ায় সব রকম মিলিট্যান্ট গ্রুপ থাকবে।