পুলিশের গুলিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণের মৃত্যুর জেরে চলমান দাঙ্গার চতুর্থ দিন আজ। এ দিন দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ৪৫ হাজার পুলিশ ও সাঁজোয়া যান নামিয়েছে ফ্রান্স।
শানিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি পুলিশ দাঙ্গাবাজদের মোকাবেলা করছে।
শুক্রবার পুরো ফ্রান্স জুড়ে কিছু সাঁজোয়া যানসহ প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবুও থামানো যাচ্ছে না দাঙ্গা। এরই মধ্যে লিয়ন, মার্সেই ও গ্রেনোবল শহরে দাঙ্গাবাজরা দোকানপাট লুটপাট করছে।
নানা স্থাপনায় আগুন দিচ্ছে। সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর সাথে।
আরও পড়ুন : টানা তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল ফ্রান্স; কারফিউ জারি
প্রতিবেদনে আরো হয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবার্গে একটি অ্যাপল স্টোর লুট করছিল দাঙ্গাবাজরা।
ফলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে সেখানে। এদিকে প্যারিসের একটি শপিং মলে ফাস্ট-ফুড আউটলেটের জানালা ভেঙে দেয়া হয়েছিল। সেখান থেকেও পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে।
দক্ষিণের বন্দর শহর মার্সেইয়ে দ্বিতীয় দিন রাত নামার আগে যুবকরা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং দোকান লুট করে।
পুলিশ জানায়, এ সময় একটি বন্দুকের দোকান থেকে তারা অস্ত্র নিয়ে চলে যায়। পরে একজনকে শিকারিকে রাইফেলসহ গ্রেফতার করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল টিএফ ওয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
‘আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরের হালনাগাদ তথ্য রাখছি।’
সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে ডারমানিন বলেন,
‘একদম স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আমি বলব, আমরা কোনো সম্ভাব্য সমাধান এড়িয়ে যেতে চাইছি না।
সামনের কয়েক ঘণ্টা আমরা দেখব, তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যে পন্থা বেছে নেবেন, তা কার্যকর করা হবে।’
মন্ত্রী আরো জানান,
দাঙ্গায় নাশকতামূলক কর্মকান্ড ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এ পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ১ হাজার ১০০ জন ছাড়িয়ে গেছে এবং তাদের সবারই গড় বয়স ১৭।
সূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা ও অন্যান্য