যুক্তরাষ্ট্রের সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, কয়েক দশকের ‘কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন’
চুক্তির আওতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশকের পুরোনো রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ পুরোপুরি ধ্বংস করেছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রই সর্বশেষ দেশ,
যারা তাদের ‘ঘোষিত’ রাসায়নিক অস্ত্রের মজুতগুলো ধ্বংস করল।
বাইডেন বলেন,
‘আজ আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মজুত থাকা সর্বশেষ রাসায়নিক অস্ত্রের ভান্ডারটিও নিরাপদে ধ্বংস করা হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহতা থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার পথে আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন,
প্রথমবারের মতো একটি আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিধ্বংসী সংস্থা নিজে অস্ত্রের ধ্বংস সম্পূর্ণ যাচাই করেছে।
কেনটাকি রাজ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্লু গ্রাস আর্মি ডিপো ৪ বছরে প্রায় ৫০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে।
গত মে মাসে রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ওপিসিডব্লিউর প্রধান ফেরনান্দো আরিয়াস বলেন,
তখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে।
ওপিসিডব্লিউ এর তত্ত্বাবধানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষের ৭০ হাজার টনেরও বেশি অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
চুক্তির আওতায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে রাসায়নিক অস্ত্রের সব মজুত ধ্বংস করতে বলা হয়।
রাশিয়া তাদের ঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্রের মজুতগুলো ধ্বংস করেছে ২০১৭ সালে
ইউএস আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের মতে,
১৯৯০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রায় ২৮ হাজার ৬০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে, যা রাশিয়ার পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাণ্ডার।
স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হওয়ার সাথে সাথে পরাশক্তিগুলো ও অন্যান্য দেশ রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করে।
আরও পড়ুন :