এ বছরের জুন মাস ছিল ১৭৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
গত ১৭৪ বছর ধরে বিশ্বের তাপমাত্রার যে রেকর্ড রাখা হচ্ছে তাতে দেখা গেছে, এ বছরের জুনে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিল।
এনওএএ’র তথ্যমতে,
বিংশ শতাব্দীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক শূন্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল জুনের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা।
প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মের মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম ছিল।
১৮৫০ সাল থেকে বিশ্বে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখছে এনওএএ।
নাসার তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণাকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান বার্কলে আর্থ ও ইউরোপের কোপারনিকাসের মতো অন্যান্য আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে গত জনু মাসকে রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণতম জুন বলে আখ্যা দিয়েছে।
এনওএএ’র জলবায়ু বিজ্ঞানী আহিরা সানচেজ-লুগো বলেন,
আগের জুনের রেকর্ডের তুলনায় এই বৃদ্ধি ‘অনেক বড় লাফ’।
কারণ সাধারণত বিশ্বব্যাপী মাসিক রেকর্ডগুলো এত বিস্তৃত হয় যে,
তারা প্রায়ই এক ডিগ্রির চতুর্থাংশ নয় বরং শততম লাফ দেয়।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশ।
এশিয়া ও ইউরোপের একাংশে চলছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) বলছে, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) গ্রীসের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
বন্ধ রাখা হয় জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা অ্যাক্রোপলিস।
এতে, দাবানলের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্রোয়েশিয়ায় তীব্র দাবদাহে দাবানল দেখা দিয়েছে।
ইতালির রোমে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ইউরোপে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০২১ সালের আগস্টে।
সেসময় তাপমাত্রা ছিল ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।
এশিয়ার দেশ জাপানে রোববার (১৬ জুলাই) ও সোমবার (১৭ জুলাই) তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এশিয়ার আরেক দেশ চীনের একদিকে বন্যা দেখা দিলেও বেশ কিছু এলাকা তীব্র দাবদাহের কবলে।
এসব এলাকায় তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।