যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য টেক্সাস ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যটিতে।
কেবল টেক্সাস নয়, আশপাশের অনেকগুলো রাজ্যেই এই অবস্থা।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টেক্সাসে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
তীব্র এই তাপপ্রবাহ রাজ্যটির মানুষের জন্য প্রাণসংহারি হয়ে উঠেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল প্রায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে গড় তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি।
ফলে অনভ্যস্ত টেক্সাসবাসীর জন্য তীব্র এই তাপপ্রবাহ প্রায় প্রাণসংহারি হয়ে উঠেছে।
এরই মধ্যে রাজ্যের লারোডো শহর এর আশপাশে তাপপ্রবাহের কারণে মারা গিয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তীব্র গরম মানুষের হৃৎ্যন্ত্র, ফুসফুস এবং কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং
এসব অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় অনেকেই মারা যাচ্ছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
কেবল গত বছরই টেক্সাসে তীব্র গরমে অন্তত ৩০৬ জন মারা গিয়েছিল।
যদিও প্রকৃতির সঙ্গে কোনোভাবেই পারা সম্ভব নয়।
তাই মানুষের উচিত হবে পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়া বসবাসে অভ্যস্ত হওয়া।
এমনটাই বক্তব্য রাজ্যের ওয়েব কাউন্টির মেডিকেল এক্সামিনার ডা. ক্রনি স্টার্নের।
তিনি বলেন, ‘মানুষের উচিত, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়া বসবাসে অভ্যস্ত হওয়া।
তিনি আরও বলেন,
‘তবে এই গরমের তীব্র এতটাই বেশি যে, মানুষ এই গরমে অরক্ষিত হয়ে পড়ছে এবং একারণে আমরা অনেককেই হারাচ্ছি।
তীব্র গরমের পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
আর্দ্র বাতাসের কারণে শরীর দ্রুত ঠাণ্ডা হতে পারে না।
যার কারণে মানুষের হৃৎ্যন্ত্র, ফুসফুস এবং কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন,
তীব্র এই গরমে যথাসম্ভব বাইরে বের না হওয়া। প্রচুর পানি পান করা এবং সতর্ক থাকা।
এদিকে, রাজ্যটিতে তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে হাজির হয়েছে বিদ্যুতে চাহিদা।
তীব্র গরমের কারণে রাজ্যটিতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।
তবে এখনো কোনো সংকট তৈরি হয়নি।
কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা আরও বাড়লে যেকোনো সময় সংকট সৃষ্টি হতে পারে।