সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ সংক্রান্ত আবেদনে তাঁর লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন করে আবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাইকোর্টে ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে রুল শুনানি প্রস্তুত করা হবে কি না- সে বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
এ দিন আদালতে উপস্থিত হয়ে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাঁরা শুনানিতে অংশ নিতে চান।
তারা বলেন, ভুল ঠিকানায় তারেক রহমানকে বক্তব্য প্রচার সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিবাদীর কাছে নোটিশ না পৌঁছে রুল শুনানি করা যেতে পারে না।
আদালত বলেন, আইনের দৃষ্টিতে এজলাসে একপক্ষ উপস্থিত আছে। পরে ঠিকানা সংশোধন করে আবারো আবেদন করতে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন,
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
২০১৫ সালে আইনের চোখে পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট
ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।
আরও পড়ুন :