জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল।
কিন্তু সাবরিনা অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক সময় আবেদন করেন।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চা র্জশুনানির এ তারিখ ঠিক করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাসেল সরদার এতথ্য জানান।
গত বছর ২৪ নভেম্বর ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন।
এরপর ২২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে।
সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন।
তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর।
অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।
গত বছর ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী
ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন সাবরিনা।
আরও পড়ুন :