বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির পৃথক মামলায় অভিযোগ গঠনে শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর মধ্যে ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের মামলায় আগামী ১২ জুলাই ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মানহানির মামলায়
আগামী ২০ জুলাই অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (২ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এদিন ধার্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলার বিবরণীতে বলা হয়,
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া।
তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।
আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত মর্মে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলায় বলা হয়,
খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়,
বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন
জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে কেক কেটে জন্মদিন পালন করে আসছেন।
‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।